আমাকে ফুলের মালা দিবেন না - মুফতি আজিজ রজভী

Aziz Razavi
By -
0


এখন থেকে কোনো সভা-সেমিনার বা মাহফিল-মজলিসে আমাকে ফুল দিয়ে বা পুষ্পমাল্য দিয়ে বরণ করবেন না। দীর্ঘদিন গবেষণা করে, আমি এই রীতির কোনো ইতিবাচক ধারণা আমি পাইনি। এটা আমার কাছে নিছক একটি লৌকিকতা ও নিরর্থক কাজ বলে মনে হয়েছে।

অনেকবার লক্ষ করেছি, মঞ্চে যখন আমাদের কাউকে ফুল দেয়া হয়। তখন কেমন জানি একটা বিনোদনমূলক পরিবেশের তৈরি হয়। হাত তালি দিতে শুরু করে। হাজার বার নিষেধ করলেও করে; এমনকি মাসজিদের ভেতরও করে।

এই ফুল বা পুষ্পমাল্য কেনা হয় বেশ দাম দিয়ে৷ বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, যতটা সময় ও শ্রম দিয়ে তা কেনা হয়েছে, আনা হয়েছে বাজার থেকে, তার সৌন্দর্য তত সময়ও অন্তত স্থায়ী হয় না। অতিথির হাতে রেখে কোনো রকম একটা ছবি তোলা পর্যন্ত হয় তার সৌহার্দ্যের স্থায়ীত্ব। তারপর ফেলে দেয়া।

অনেক প্রোগ্রামের মঞ্চে সিনিয়র-জুনিয়র ও ছোটো-বড়ো এলাকার অনেক গণ্যমান্য আলিম-ওলামা এবং জ্ঞানি-গুণী মানুষ থাকেন, যখন আমাকে কিংবা অন্য ক’জনকে পুষ্পমাল্য দিয়ে সম্মানিত করা হয়, মঞ্চে বরণ করা হয়, এতে অঘোষিতভাবে অন্যান্য অতিথিদের অসম্মান করা হয়। যা একপ্রকার বৈষম্যের সৃষ্টি করে করে।

আমি এটাও মনে করি যে, এটি একটি অসুন্দর, অপ্রয়োজনীয় ও মানুষের সময় নষ্টের অনন্য কারণ। কাজই আমাকে পুষ্প দিয়ে সম্মানিত করার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। হ্যাঁ, যে বা যারা এসবকে পছন্দ করেন, তাদেরকে শুধু ফুল না; ফুল বাগানে নিয়ে বসায় রাখুন। আমার কোনো আপত্তি নেই।

যদি একান্তই সম্মানিত করতে মন চাই, তবে আলিম-ওলামা বা বরেণ্য কোনো অতিথিকে স্বল্প দামের হলেও পরবর্তী কাজে আসে এমন কোনো হাদিয়া বা উপঢৌকন প্রদানের চেষ্টা করুন। যেমন- চাদর, আতর, টুপি, মিসওয়াক ইত্যাদি। এটিই হাদিয়া; এটিই সুন্নাহ!

এটি যাকে দিয়েছেন ব্যবহার করার জন্য, তিনি যত দিনই ব্যবহার করবেন, আপনি সাওয়াব পাবেন; সদকার সাওয়াব। তাই ফুল দিয়ে ভুল করবেন না। হাদিয়া দিবেন। হাদিয়া দেয়া সুন্নাহ।


বই: পরিবর্তন জরুরি 

কৃত: আজিজ রজভী

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)